Pages

Saturday, April 7, 2012

নতুন দিনের কৃষকদের খোঁজে ???? (Natuna dinēra kr̥ṣakadēra khōm̐jē????)

মো: মিরজাহান খান জিতু কে আমার অশেষ ধন্যবাদ।(অনুবাদক
তামিল ভাষা থেকে অনুবাদ করা হল।
লেখক- স. ভাইধীসভারন।
ভারতের জন্য এটি একটি লজ্জার বিষয় যে তুলা চাষীদের আত্মহত্যা খুবই নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা  বন্ধ করতে, আমরা যারা ​​কিছু দিন আগে “মহিমান্বিত পোঙ্গল” (প্রান্তিক চাষীর দিনউদযাপন করেছি তাদেরকেই সবার আগে ভাবতে হবে। খুব বেশি দিন হবেনা যখন ভারত থেকে বিদেশী রাষ্ট্রগুলিতে উদ্বৃত্ত উত্পাদন রপ্তানি হত। গত কয়েক বৎসর যাবত ভারতের খাদ্য-শস্য অপর্যাপ্ত হত্তয়ায় তাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য চালগম এমনকি  চিনি আমদানি করতে হচেছ। আমাদের কৃষি জমি হ্রস্বীভূত হয়েছে এবং                                                                                আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা কমে গিয়েছে অনেক। ‌‍১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত  প্রায় ১৫০০০০০  কৃষক আত্তহত্তার পথ বেছে নিয়েছে। যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে  ভারতকে তার খাদ্যের জন্য অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে। এমনকি সাহায্যও চাইতে হতে পারে। আমরা সাধারণ  মানুষ সবথেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হব যদি এমন অবস্থা চলতে থাকে।

কেন তুলো চাষীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিলদ্রব্য মূল্যের নিম্ন গতি , বীজ প্রতি উত্পাদন,  বীজ এবং কীটনাশক এর বিপরীতে অপ্রতুল ঋণ ,  বিশেষ করে কীটনাশক “বিটি ” এবং “জিএমও” ইত্যাদি এর প্রভাব বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য। সবার মতো কৃষকদেরও কিছু চাহিদা আছে।  তুলা চাষের  অধিক মুনাফা ও উত্পাদন এর ফলে তুলা চাষীরা পরবর্তীতে একই জমিতে অবিরাম তুলা চাষ করে মাটির উর্বরতা নষ্ট করে ফেলছে। যারফলে কৃষকরা সার এবং কীটনাশক এর উপর অধিক ব্যয় করতে বাধ্য হয়। পোকামাকড় এর বৈচিত্র্য এবং কীটনাশক এর বিরুদ্ধে এদের বর্ধিত প্রতিরোধ ক্ষমতা কৃষকদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। অতিরিক্ত কীটনাশক এর মূল্য তাদের খরচের সঙ্গে যুক্ত হচেছ। আমরা সবাই কম বেশি সমস্ত ফসল, সবজি, উদ্ভিদ, উদ্ভিদএর বৃদ্ধিমাটির উর্বরতা সম্পর্কে জানি।
কেন তুলা চাষীরা  হতাশায়  আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেআমরা সবাই ভোক্তাকিন্তু আমরা এই আদিম পেশা  কৃষি কাজ এবং মহৎ কৃষকদের কখনো সম্মানের সাথে বিবেচনা করিনা। সর্বোপরি কৃষিকাজ কৃষকদের  জন্য মোটেও কোনো বৃহত লাভজনক পেশা নয়। বিক্রেতাদালাল (মধ্যস্ততাকারী), এবং শহরের সুপারমার্কেটের মালিকরাই  সিংহভাগ ​​লাভ উপভোগ করেথাকে। আপনারা কি বলতে পারবেন এমন একটি শিল্প পণ্য যার মূল্য ভোক্তা দ্বারা নির্ধারিত করা হয়উদাহরণ হিসেবে যদি একটি কলম এর কথা বলে যেতে পারে। একটি কলমের খুচরা মূল্য নির্ধারিত হয়  উপাদান খরচ, কাচামাল খরচ, পাকেজিং খরচপরিবহন খরচপ্রযোজক ও  বিক্রেতার লাভ এবং কর এর উপর নির্ভর করে। সর্বশেষ খুচরা মূল্য নির্ধারিত হয়  উপরের সব খরচ যোগ করে। একই পদ্ধতি  কৃষি পণ্যের জন্য  কখনই প্রযোজ্য নয়। এখানে পণ্যের দাম ক্রেতা দ্বারা নির্ধারিত হয়।
ভারত তার ভৌগলিক অবস্থানের কারনে কোনো সময়েই খরা প্রবণ দেশ ছিলনা। তবে  ভারত তার ইতিহাসে অনেকবার দুর্ভিক্ষ এর সম্মুখীন  হয়েছে যার কারন হল কারন রাজা-মহারাজা  ও ব্রিটিশ শাসকদের অদূরদর্শিতা, যেমন দ্বৈত-করারোপ এবং মোট উত্পাদনের এক তৃতীয়াংশ কর হিসাবে দেওয়া ইত্যাদি উত্পাদনের।


কৃষি পরিবার থেকে ছেলে মেয়েরা শিক্ষিত হয়ে কৃষি কাজ এ নিজেকে জড়াতে পারবেনা এই কথার কোনো যুক্তি নেই। এমন পুত্র / কন্যা কতজন আছে যে শিক্ষিত হবার ফলে তার শিল্পপতি বাবা বা মার পদচিহ্ন অনুসরণ করেনি যদি পেশা লাভজনক হয় , তবে  তারা তাদের পিতা-মাতাকে অনুসরণ করে একই পেশা চালিয়ে যেতে পারে। রাজনীতিও এই নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম নয় এবং আমরা এমন অগনিত উদাহরণ দিতে পারব।
ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা উত্পাদনকারী রাষ্ট্র। কোন দেশ স্থায়ীভাবে তার কৃষি পণ্য এর আন্তর্জাতিকঅবস্থান ধরে রাখতে পারেনা। মাটির উর্বরতা এর প্রধান কারন।  একই ফসল বার বার একই জমিতে উত্পাদনের ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পায়। ব্যতীক্রম অবশ্যই   বিদ্যমানপাট একটি সূক্ষ্ম উদাহরণ। ভারত এবং বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম পাট উত্পাদনকারী. এটা কখনই  পরিবর্তন হবেনা যার প্রধান কারণ অন্য কোন দেশে এই পাট উত্পাদনের জন্য  অনুকূল পরিবেশ নেই।
আমরা কি এই পরিস্থিতি এভাবে চলতে দিতে পারিআপনি, আমি এবং আমরা সবাই  স্পষ্টভাবে এর  দ্বারা প্রভাবিত হব। আমি আমার চিন্তা হয়তো লিখে এবং অনুবাদ করে সম্পূর্ণ প্রকাশ করতে সক্ষম হবনা কিন্তুআমরা যদি একটু চিন্তা করি এটি একটি বিরাট  গুরুতর ​​বিষয় হিসেবে প্রতীয়মান হবে। আমার মনে হল আমর কিছু করার আছে  এই বিষয়ে। অন্তত ছোট একটা  পরিকল্পনা কাজে আসতে পারে। আমি চিন্তা করলাম প্রত্যেক গ্রামের কৃষকরা একটি ঐক্যবদ্ধ  গ্রুপ (একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মত কিছু) গঠন করতে পারে। এই সব গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ দল হিসেবে সারা বছর ধরে  একসাথে কৃষিকাজ করবে। সবজি, খাদ্যফুলফলগাছ এবং তৈল বীজ মাটির উর্বরতা অনুযায়ী উত্পাদন করা যেতে পারে যেন প্রত্যেকের জন্য বৃত্তাকারভাবে সারাবছর কাজ থাকে। এমন একটি ব্যবস্থা থাকবে যেখানে সব বিনিয়োগশ্রম এবং মুনাফার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণবন্টনপরিচালিত হবে একটি কেন্দ্র থেকে। এই পরিকল্পনা সঠিকভাবে শ্রেণীবদ্ধ করতে হবে  হবে। অবশ্যই সরকারের সাহায্যের প্রয়োজন আছে। সরকার এই কাজের জন্য  একটি আলাদা  বিভাগ গঠন করতে পারে এবং  প্রত্যেক জেলায় এর জন্য বিশেষ কেন্দ্র খুলতে পারে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় যে  কৃষি উন্নয়ন কেন্দ্র আছে সেগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে। এই কেন্দ্রগুলি আশপাশের এলাকায় মাটির উর্বরতা  এবং জল এর  উত্স অনুযায়ী কৃষি কাজের পরামর্শ দিতে পারবে। এছারাও  তারা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য অসুবিধা দুরীকরণে সাহায্য করতে পারে। ব্যাংকগুলো এই পরিকল্পনা শুরুর প্রথমে ঋণ দিয়ে সাহায্য করতে পারে এবং  তারা এই কাজের লাভের অংশীদারও হতে  পারে।  কৃষকদের মাসিক প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেখানে ভারত এশিয়া ও  আফ্রিকার অনেক দেশকে সাহায্য করছে সেখানে ভারত কি তার নিজস্ব কৃষকদের সাহায্য করতে পারেনা

একই জমিতে বিভিন্ন  ফসল ও ফল পর্যায়ক্রমে  চাষ করলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাই . একটি উদ্ভিদের  একটিপতঙ্গ অন্য একটি উদ্ভিদ  পতঙ্গের খাদ্য হতে পারে. আপনারা কি কখনো শুনেছেন যে  বনের লক্ষ লক্ষ গাছপালা, পশু এবং পোকামাকড় কোনো রোগে বা পতঙ্গের আক্রমনে মারা গেছে?  কৃষকদের প্রত্যেক কাজেই কিছু লাভ আছে। এমনকি যদি কিছু ফসল নষ্ট হয় অন্য শস্য এর উত্পাদন ও লাভ এই ক্ষতিপুন করতে সম্ভব- তাদের বিনিয়োগ ও কঠোর পরিশ্রমক বৃথা যাবেনা। এমনকি  প্রাকৃতিক বিপর্যয় সমস্ত ফসলের ক্ষতি কতে পারেনা। যদি এমন কিছু ঘটে  সরকারের  উচিত  কৃষকদেরক্ষতিপূরণ প্রদান করা।

অন্যান্য সুবিধা যেমন বিদ্যুত, পানি  সরকারকেই  প্রদান কতে হবে। একটি বহুজাতিক  কোম্পানিকে যে বিদ্যুত দেয়া হয় তা কয়েক শত একর কৃষিজমিতে দেয়া যেতে পারে। নতুন শিল্পগুলোকে ছাড় প্রদান এর  পরিবর্তে সরকার কৃষকদের, যারা ​​আমাদের জন্য খাদ্য উত্পাদন করে তাদের নতুন নতুন বারতি সুভিধা দিতে পারে।  কৃষি সংশ্লিষ্ট শিল্প যেমন বীজ উত্পাদন শিল্পসার কারখানাকৃষি সরঞ্জাম নির্মাতাখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প,ইত্যাদি শিল্প হিসাবে বারতি ছাড় ও সুবিধা পেতে পারে।
এরফলে এমন হতে পারে যে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্টান যেমন টেক্সটাইল সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদি এরকমও হয় তারা অন্য কোন  অধিক লাভজনক শিল্পে রূপান্তরিত হতে পারে।  যারা শ্রমিক তাদের বেঁচে থাকার জন্য অনেক কষ্ট ও  ধৈর্যধারণ কতে হবে, যদিও সে  বেচেঁ থাকার জন্য যেকোনো ভাবে একটি কাজ  খুঁজে পাবে। কিন্তু কৃষকদের জন্য এমন কোন সুযোগ নেই। তারা  ​​যদি জমি বা উর্বরতা হারায় তা সহজে আর কখনো ফিরে পাবে না। একজন কৃষক অন্য যে কোন কাজ করতে পারে, কিন্তু অন্য পেশার যেকোনো লোক কৃষি কাজ কতে পারবেনা। কৃষি কাজের জন্য যে অভিজ্ঞতা লাগে তা অর্জন সময় সাপেক্ষ বেপার। তাই একজন সত্যি কারের কৃষক পাওয়া খুবই কঠিনকৃষকদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান একবার হারালে তা চিরতরে হারিয়ে যায়,  আর কোন দিন ফিরে আসে না।
এখানে  উল্লেখযোগ্য হল হাইব্রিড বীজরাসায়নিক সার এবং কীটনাশক এর ব্যবহার আমাদের সবুজ বিপ্লবের জন্য হুমকি সরূপ। মাসানাবু ফুককা  এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে  কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধি পায় যদি তা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া সঙ্গে সহযোগী হয়। আমাদের আরও বড় সমস্যা হল খাদ্যে “জি ম ও” (GENETICALLY MODIFIED ORGANISM) এর উপস্থিতি কে অনুমতি দেয়া , যাকে সাধারণত  BT (BACILLUS THURENGENSIS)   বলা হয়। GMO বা BT উদ্ভিদের DNA তে বিষ উত্পাদন করে। এই বিষ উদ্ভিদ এর  বৃদ্ধির  সাথে বৃদ্ধি পায়, গাছের সমস্ত অংশে এবং মাটিতে  ছড়িয়ে পরে। BT হল উদ্ভিদের মাঝে ব্যাকটেরিয়া, আমর মতে এটাকে ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদ বলা যেতে পারে।  আফ্রিকান দেশগুলো এই ভয়ঙ্কর BT-শস্য আকারে নিতে রাজি নয় তাই তারা পাউডার গুঁড়া আকারে আমদানি করে।      
আমার মতে এই প্রকল্পের শুরুতেই কৃষকদের উপর প্রাকৃতিক / ঐতিহ্যগত / ORGANIC /biodynamic যেকোনো নিয়মে কৃষি কাজ  করতে বাধ্য করা উচিত নয়। বর্তমানে শুধুমাত্র কৃষকদের উত্সাহ দেওয়া যেতে পারে যেন কৃষি জমি গুলো ধরে রাখা যায়। ধীরে ধীরে কৃষকদের  টেকসই ও আরো উন্নত কৃষি ব্যবহার করা যাবে।
আমি কৃষিঅর্থনীতি বা ব্যবস্থাপনা খুব ভালো জানিনা। পাঠক, যারা ​​এই লিখা পড়বেন তারা আপনার বন্ধুদের এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে  শেয়ার করবেন। আমাদের প্রয়োজন  বিশেষজ্ঞদের মতামত জানা। এই পরিকল্পনা কি কাজ করবেকি কি ধরণের উন্নতিসাধনের প্রয়োজন আছেআমরা  এই পরিকল্পনা সফল করতে হলে আরও ভালো পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কৃষক এর মতামত, শুধুমাত্র বাংলার কৃষক নয়   সব দেশের কৃষকদের  মতামত পাওয়া প্রয়োজন। যে জন্য আমরা সকল ভাষায় এই লিখা  অনুবাদ করতে চাই।  অনুবাদের জন্য আপনার  এবং আপনার বন্ধুদের থেকে সাহায্য প্রয়োজন. আপনি কি  সাহায্য করবেন ..........?
(যেকোনো ভুল বানান ও ত্রুটির জন্য দুঃখিত)
don't hesitate to give your comments, suggestions, opinions, corrections.......

for typing in  বাংলা  ગુજરાતી  हिंदी  ಕನ್ನಡ  മലയാളം मराठी  नेपाली ଓଡ଼ିOriya,  ਪੰਜਾਬੀ ,   தமிழ் తెలుగు and  اردو  . follow the link & download a small app to your computer, this works in offline very well. 

No comments:

Post a Comment